হে যুবক(নারী-পুরুষ) আমি তোমাকেই বলছি
কেন না তুমি একজন সচেতন পুরুষ। তুমি যে তোমার স্ত্রী ও বোনকে অনেক ভালবাস।তাই আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।তাই বলছি সাবধান হও।
পারবে তোমার স্ত্রী বোনকে অন্যের হাতে
তুলে দিতে!পারবেনা!কখনই না!কোন দিন না।
তাহলে তুমি কি ভাবে এমন কাজ কর।
******একবার ভেবে দেখ আমার প্রীয় বন্ধু******
এটা কি ভাবে সম্ভব যে !একাধিক মেয়ের সতীত্ব নষ্ট করে...তুমি একটা সতী স্ত্রী পাওয়ার
স্বপ্ন দেখো!
অপর দিকে.....
লোকজনের ভীড়ে অন্যের বোনের শরীর ছুঁয়ে...তুমি নিজের বোনকে বুকের পাজরে আগলে রাখতে
চাও!!
আজকের রাতটা বাহিরে থাকার জন্য তুমি কাউকে আহ্বান করছো...অথচ তুমি চাও তোমার হবু
বউটা যেন ফুলের মতো পবিত্র হয়, তোমার বোন যেন সন্ধ্যার
পর বাহিরে না যায়!!
***হে যুবতি
নারী তুমি কি কখন ভেবে দেখেছ ***
তুমি হাতের পুরোনো স্মার্ট ফোনের মতো প্রেমিক বদলাও, সাময়িক সুখ পেতে নির্লজ্জ প্রেমিকের কাছে ছুটে যাও...কখনো কখনো
ভালবাসার ডাকে সারা পেয়ে বিলিয়ে দাও নিজেকে!!!
অথচ তুমি কোনো এক বাবার রাজকন্যা,
ভাইয়ের আদরের বোন। একদিন তুমি কোনো এক সন্তানের পবিত্র মা হবে...কোনো
এক পুরুষের পবিত্র স্ত্রী হবে।
তোমার অপবিত্র হাতের ছোঁয়ায় নষ্ট হবে বিশ্বাস নামক একটি শব্দ, খুন হবে সাজানো গোছানো কিছু স্বপ্ন।
সময়ের ঘড়ি সময়ের নিয়মেই বদলে যায়,
একটা ঢিল উপরে ছুঁড়ে মারলে দ্বিগুন গতি নিয়ে নিচের দিকে ফিরে আসে...প্রায় প্রতিটা
মুভিতেই ভিলেনের শেষ পরিনতি হয় ভয়ঙ্কর!!!
যে কাজটা আমার সাথে হলে আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবো না, ঠিক সেই কাজটা আমি কিভাবে অন্যের সাথে করি???...যতটা আঘাত আমি কাউকে করছি, ততটা আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে তো???
অতএব প্রতিটা পা খুব সাবধানে ফেলুন খুব সাবধানে....দু'দন্ড মিষ্টি কথার আড়ালে আজ আপনি কারো স্বপ্ন নিয়ে খেলছেন, কাল অন্য কেউ আপনার স্বপ্ন নিয়ে খেলবে।
#নোটঃ লেখকের কথাগুলো
আমি তুলে ধরার কারন হলো, কেউ যদি এই পথে না
থাকে সতর্ক করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সতর্ক করে দেয়া।
আর এই পথের সাথে যদি কারো মিলে যায় তাহলে সংশোধিত হওয়া। এটাই কিন্তু জীবন না.....আখিরাত বলে কিছু একটা আছে.....
এখন নিজেকে ধর্মীয় কাজ ও আমলের দিকে নিজেকে
ব্যস্ত রাখুন এবং ধার্মিক মানুষদের সাথে চলাফেরা করার চেষ্টা করুন।
আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্বরণ করুন! দেখবে
তোমার জীবন কথ সুন্দর হয়ে উঠেছে। আর হাজার মানুষের ভিড়ে
আজ নিজেকে সত্যিকিরের মানুষ হিসেবে ভাবতে ভাল লাগছে।
হে যুবক এই কথাটি একবার ভাব
শিক্ষণীয় ঘটনা ও ব্যভিচার হতে তওবা
একদা এক মজলিসে এক যুবক এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ,আমাকে যিনা করার অনুমতি দিন।’একথা শুনে উপস্থিত সবাই চমকে উঠলেন এবং তাকে তিরস্কার করতে লাগলেন, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (আদরের সহিত) আমার কাছে এসো, সে কাছে এল। বললেন, বসো, সে বসলো।
এরপর (তার ঊরুতে হাত রেখে) বললেন,
‘তুমি কি তোমার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে?’
সে বলল, না ইয়া রাসূলুল্লাহ। আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি উৎসর্গিত করুন।
কোনো মানুষই তার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাহলে তোমার মেয়ের জন্য?’
যুবকটি বলল, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত।
কোনো মানুষই তার মেয়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
নবীজী (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার বোনের
জন্য?’
যুবক বলল, ‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ!
আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার বোনের জন্য এটা পছন্দ করবে
না।’
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার ফুফুর
জন্য?’
যুবক বলল,‘না ইয়া রাসূলুল্লাহ!
আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত।
কোনো মানুষই তার ফুফুর জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তোমার খালার
জন্য?’
যুবক বলল, না কক্ষনো না। আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গিত করুন।
কোনো মানুষই তার খালার জন্য এটা পছন্দ করবে না।’
এরপর নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম তার শরীরে হাত রাখলেন এবং দুআ করলেন- ইয়া
আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করুন, তার অন্তর পবিত্র করুন
এবং তার চরিত্র রক্ষা করুন।
বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষার ফলাফল এই হল যে, পরবর্তী জীবনে সে (রাস্তায় চললে) কোন দিকে চোখ তুলেও তাকাত না।
হাদিসটি পাবে
(মুসনাদে আহমদ ৫/২৫৬-২৫৭)
মন থেকে ক্ষমা চাইলে এবং আর ভূল না করার সংকল্প করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন----------
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ
أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ
اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيم
"(হে নবী) তুমি ( তাদের)
বলো, হে আমার বান্দারা, তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছো, তারা আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে ( কখনো ) নিরাশ হয়ো না অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা ( মানুষের ) সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন, তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু" ---(সূরা আয যুমার ৫৩)
-:তওবা বিশুদ্ধ ও গ্রহণ
যোগ্য হওয়ার জন্য
৩টি শর্ত রয়েছে:-
** বর্তমানে যে
গোনাহে লিপ্ত রয়েছে, তা অবিলম্বে বর্জন করতে হবে।
** অতিতের গুনাহের
জন্যে অনুতপ্ত হতে হবে।
** ভবিষ্যতে
সে গুনাহ্ না করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং কোনো ফরয কাজ ছেড়ে থাকলে তা আদায়
বা কাযা করতে হবে।
যারা একের পর এক গুনাহ্ করতে থাকে তাদের গুনাহ্ ক্ষমা করেন না।
এ মর্মে মহান আল্লাহ্ বলেন..
وَلَيْسَتِ ٱلتَّوْبَةُ لِلَّذِينَ
يَعْمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلْمَوْتُ قَالَ
إِنِّى تُبْتُ ٱلْـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌۚ
أُو۟لَٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
এমন লোকেদের তাওবাহ
নিস্ফল যারা গুনাহ করতেই থাকে, অতঃপর মৃত্যুর মুখোমুখী হলে বলে, আমি এখন তাওবাহ করছি এবং (তাওবাহ) তাদের জন্যও নয় যাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা যাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।
(আন নিসা ১৮)
এবং (আজীবন) যারা মন্দ
কাজ করে, তাদের জন্য তওবা নয়, আর তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, ‘আমি এখন তওবা করছি।’ [১] আর যারা অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাদের জন্যও তওবা নয়। এরাই তো তারা, যাদের জন্য আমি মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।
[১] এ থেকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, মৃত্যুর সময় কৃত তওবা গৃহীত হয় না। অনুরূপ কথা হাদীসেও এসেছে।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْدَ
إِيمَٰنِهِمْ ثُمَّ ٱزْدَادُوا۟ كُفْرًا لَّن تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ
وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلضَّآلُّونَ
নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনার পর কুফরী করল, অতঃপর তাদের কুফরী বেড়েই চলল, তাদের তাওবাহ কক্ষনো কবুল করা হবে না এবং এ লোকেরাই পথভ্রষ্ট। (আল ‘ইমরান ৯০)
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস
করার পর অবিশ্বাস করে[১] এবং যাদের অবিশ্বাস-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাদের তওবা কখনো মঞ্জুর করা হয় না। [২] এরাই তো পথভ্রষ্ট।
[১] এই আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হওয়ার পর তাওবা করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর উপরেই
যাদের মৃত্যু হয়েছে।
[২] এটা হল সেই তওবা যা মৃত্যুর সময়ে করা হয়। তাছাড়া তওবার দরজা তো সবার জন্য সব সময়ের জন্য খোলা। এর পূর্বের আয়াতেও তওবা কবুল হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। এ ছাড়াও কুরআনে মহান আল্লাহ বারবার তওবার গুরুত্ব এবং তা কবুল
করার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, [أَلَمْ
يَعْلَمُوا أَنَّ اللهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ]
অর্থাৎ, তারা কি এটা অবগত নয়
যে, আল্লাহই নিজ বান্দাদের তওবা কবুল করে থাকেন এবং তিনিই দান-খয়রাত গ্রহণ করেন, আর আল্লাহ হচ্ছেন তওবা কবুলকারী ও পরম করুণাময়? (সূরা তওবা ৯:১০৪ আয়াত)
[وَهُوَ الَّذِي
يَقْبَلُ التَّوبَةَ عَنْ عِبَادِهِ ] অর্থাৎ, তিনি তাঁর দাসদের তওবা গ্রহণ করেন এবং পাপ মোচন করেন এবং তোমরা যা কর তিনি তা জানেন। (সূরা শূরা ৪২:২৫ আয়াত)
হাদীসসমূহে তওবা কবুল হওয়ার কথা বড়ই গুরুত্বের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কাজেই এই আয়াতে যে তওবার কথা বলা হয়েছে, তা হল একেবারে শেষ মুহূর্তের তওবা, যা কবুল হবে না। যেমন, কুরআনের অন্য এক স্থানে বলা হয়েছে,
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ
يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي
تُبْتُ الْآنَ
“আর এমন লোকদের জন্য কোন তওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো নিকট মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়ে যায়, তখন বলে, আমি এখন তওবা করছি।“ (সূরা নিসা ৪:১৮ আয়াত)
হাদীসেও আছে যে, "অবশ্যই আল্লাহ বান্দার তওবা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার পূর্বমুহূর্ত
পর্যন্ত কবুল করে থাকেন।" (মুসনাদ আহমাদ-তিরমিযী)
অর্থাৎ, জাকান্দানীর সময়ের তওবা কবুল হয় না।
-----------------------
আমরা কখন মহান আল্লাহর দয়া থেকে নিরাস হব না।
এ ব্যাপারে আল্লাহ্
বলেন....
يَٰبَنِىَّ ٱذْهَبُوا۟ فَتَحَسَّسُوا۟
مِن يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَا۟يْـَٔسُوا۟ مِن رَّوْحِ ٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ لَا
يَا۟يْـَٔسُ مِن رَّوْحِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلْقَوْمُ ٱلْكَٰفِرُونَ
....., আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হয়ো না, কেননা কাফির সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর রহমাত হতে কেউ নিরাশ হয়
না।’ (ইউসুফ ৮৭)
যেমন মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন: ﴿وَمَن يَقْنَطُ مِن رَّحْمَةِ رَبِّهِ إِلاَّ الضَّآلُّونَ﴾ "কেবল ভ্রষ্ট লোকরাই আল্লাহর রহমত
থেকে নিরাশ হয়ে থাকে।"
(সূরা হিজর ৫৬) এর অর্থ এই যে, মুমিনদেরকে চরম কঠিন
পরিস্থিতিতেও ধৈর্যহারা ও সংযমহীন হতে নেই এবং আল্লাহর অসীম কৃপার আশা ছাড়তে নেই।
সকলকে
বুঝে আমল করার তৌফিক দান করুন
-------আমীন------
***সংগৃহীত***
.......Edited
by alquranerkotha.bd
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
- আমরা অনেক পাপ কাজ করি কিন্তু আমরা জানি এই কাজটি পাপের । কাজটি করলে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিবেন, তবুও করি কেনো করি?
- কি ভাবে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে জানেন?/শয়তানের কৌশল
- আপনি কি জানেন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ফযীলত জানলে সলাত ত্যাগ করতেন না
- সালাত হচ্ছে আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত নিয়ামতরাজির শুকরিয়া
- ইসলাম ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine Day)
- আমি বা আমরা কেন সালাত/নামাজ আদায় করব?
- ?