Search This Blog

My Blog List

12.3.18

কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক

 
▓▓▓░░▒▒ কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক░░▒▒▓▓▓

 
 রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শিরক, কথাটি তিনবার বলেন।(তিরমিযী ৪/১৬০ ইবনু হিববান  ১৩/৪৯১ হাকীম, আল-মুসতাদরাক ১/৬৪ আবূ দাউদ ৪/১৭ বুখারি ৫৩৪৬ আবু দাউদ ৩৯১০) আপনি যদি উক্ত কথা যা আপনি লিখেছেন তা বিশ্বাস করলে শিরক হবেকেননা এ মর্মে আল্লাহ্‌ বলেন আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না” (ইউনুস আয়াত ১০৬, ১০৭)অর্থাৎ কাওকে ভাল রাখা ও খারাপ রাখা এ অধিকার একমাত্র আল্লাহ্‌ রাখেন এই রকম অনেক শিরক আছে তার মাঝে কয়েকটা নিচে দেয়া হলঃ-
যাত্রা শুরুর সময় যে কোন বাধা পাওয়া (যেমনঃ-পায়ে হোঁচট খাওয়া, পেছন থেকে ডাকা) যাত্রা অশুভ বলে ধারণা করাও শিরক/রাতের বেলা ঝাড়ু দিয়ে বাইরে ফেলা জাবেনা মনে করলে শিরক শিরক হয়/রাতে টাকা ধার দেয়া জাবেনা, ধার দিলে অমঙ্গল হবে বলে মনে করা শিরক/রবিবারে বাঁশ কাটা জাবেনা/সকালে যে কোন শানা বা ভর্তা আথবা ডিম খেয়ে সফরে যাওয়া যাবেনা/মহরম মাসে বিয়ে করা যাবেনা/সকালে বা যেকোনো সময় বাড়িতে কোদাল কাধে করা যাবেনা/সন্ধ্যার পর কোন কিছু লেনদেন করা যাবেনা (বাড়ীতে)/জামা বা জোড়া কলা খেলে জামা বা জোড়া সন্তান হয়/দুর্ঘটনা না ঘটার কারণ মণে কোরে(গাড়ীর সামনে বা পেছনে  টায়ার, জুতা অথবা স্যান্ডেল ঝুলিয়ে রাখলে। )
 আমার জানা মতে প্রাই ১২০টি এই রকম শিরক আছে

এখন  যদি আপনি এই শিরক গুল করেন তা হলে আপনার কি হবে তা একটু দেখি এ মর্মে আল্লাহ্‌ বলেন আল্লাহর প্রতি শিরক করার পাপ আল্লাহ কখনো মাফ করবেন নাতবে অন্য যে কোনো পাপ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করতে পারেন
(সূরা নিসা আয়াত ৪৮,১১৬) মানে কেউ যদি শিরক করা অবস্তাই মৃত্যু বরন করে তবে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে যেমন কাফের থাকবে কখনো সে জান্নাতে জাবেনাভেবে দেখুন এই বিশ্বাস ত্যাগ করবেন না জাহান্নামে থাকবেন
এখন ভাবছেন আমি ত এ অপরাধের সাথে জড়িত আমার কি হবে চিন্তা নেই এখনি তওবা করুণ আর ফিরে আসুন। এ মর্মে আল্লাহ্‌ বলেন তারা কি আল্লাহর দিকে তাওবা করে ফিরে আসবে না এবং তাদের গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা চাইবে না? অথচ আল্লাহ তো ক্ষমাশীল এবং মেহেরবান(মায়েদাহ, আয়াত ৭৪)  

আগের পোস্ট