নামাজ/স্বলাতের ভিতরে মুনাজাতের স্থান পর্ব ২
দ্বিতীয় পর্ব
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا ٱلْقُرْءَانَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব উপদেশ উপদেশ গ্রহণ করার
কেউ আছে কি ?
(আল-ক়ামার ১৭,২২,৩২,৪০)
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا
তারা কি কুরআন সন্বন্ধে
গভীরভাবে চিন্তভাবনা করে না, না তাদের অন্তরে তালা দেয়া আছে ? (মুহাম্মদ ২৪)
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
স্বলাতের ভিতরে দাড়ানো
থেকে শুরু করে সালাম ফিরানো পর্যন্ত পূরো স্বলাতটাই যে 'মুনাজাত' প্রথম পর্বের হাদীস দ্বারা তা-ই প্রমাণিত হয়।
আমরা এ পর্বে আলোচনা
করব স্বলাতের ভিতর কিভাবে মোনাজাতকরি এবং কি বলে।
আল্লাহ বলেনঃ
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا
لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
তোমরা ধৈর্য্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, আর তা আল্লাহভীরু ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সকলের কাছে নিশ্চিতভাবে কঠিন। (সূরা, বাক্বারাহ ৪৫)।
তিনি আরো বলেন..
وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِىْ
‘আর তুমি স্বলাত কায়েম কর আমাকে, স্মরণ করার জন্য’ (ত্ব-হা ১৪)।
(১) (ক) স্বলাতের শুরুতেই মুনাজাত, সানা..
اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ
كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اَللَّهُمَّ نَقِّنِيْ مِنَ
الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اَللَّهُمَّ
اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَد
অর্থ:- হে আল্লাহ!
আপনি আমার ও আমার গোনাহ সমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে পরিচ্ছন্ন করুন গোনাহ সমূহ হ’তে, যেমন পরিচ্ছন্ন করা হয় সাদা কাপড় ময়লা হ’তে। হে আল্লাহ!
আপনি আমার গুনাহ সমূহকে ধুয়ে ছাফ করে দিন পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা ও শিশির দ্বারা’।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বা-‘এদ বায়নী ওয়া বায়না খাত্বা-ইয়া-ইয়া, কামা বা-‘আদতা বায়নাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি। আল্লা-হুম্মা নাকক্বিনী মিনাল খাত্বা- ইয়া-ইয়া, কামা ইউনাকক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগ্সিল খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিল মা-য়ি ওয়াছ ছালজি ওয়াল
বারাদি’।
(বুখারী তাও. হা/৭৪৪; ইফা হা/৭০৮ মুসলিম হাএ. হাঃ/১২৪১ ইফা হা/১২৩০)
অথবাঃ(খ)
ﺳُﺒْﺤَﺎ ﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ،
ﻭَﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﺟَﺪُّﻙَ، وَلَآ إِلٰهَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ
অর্থঃ-হে আল্লাহ! আপনার
প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি,
আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।
( আবু দাউদ, আলএ. ও ইফা. হা/৭৭৫, ৭৭৬ তিরমিযী, মাপ্র.হা/২৪৩; নাসাঈ,মাপ্র. হা/৮৯৯, ইফা.হা/৯০২)
দি:দ্র: অর্থের দিকে
লক্ষ্য করলে ১ম (ক) সানাটি অতি উত্তম ও নির্ভর যোগ্য।
(২) রুকু কালীন মুনাজাত।
রুকুর তাসবীহ কমপক্ষে
তিনবার, ঊর্ধ্বে যতবার খুশি পড়বে,।
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺭَﺑِّﻲَ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ
অর্থ:- আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি
(মুসলিম,হাএ.হা/১৬৯৯, ইফা. হা/১৬৮৪, ইসে.হা/১৬৯১ )
(৩) রুকু থেকে উঠে মোনাজাত। ক্বওমা: রুকূ থেকে উঠে বলবে।
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
অর্থ:- যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন (কবুল করেন)
উচ্চারন:- সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ (বুখারী, তাও.হাঃ ৭৩২, ইফা হা ৬৯৬, মুসলিম, হাএ. হাঃ ৭৫৪ ইফা হা ৭৫২)
অতঃপর ‘ক্বওমা’র দো‘আ একবার পড়বে।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ
ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ
অর্থ:- হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা;
(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭৮৪, ৭৫, ৭৬,)
অথবাঃ ﺭَﺑَّﻨَﺎ
ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﺣَﻤْﺪﺍً ﻛَﺜِﻴﺮﺍً ﻃَﻴِّﺒﺎً ﻣُﺒﺎﺭَﻛﺎً ﻓِﻴﻪِ
অর্থ:- হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা। উচ্চারনঃ- রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবাম..মুবা-রকান ফীহি (বুখারী, তাও. হা/৭৯৯, ইফা.হা/৭৬৩ )
(৪) সিজদা অবস্থায় মুনাজাত।
সিজদা:-
যথা:(ক), ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ
ﺭَﺑِّﻲَ ﺍﻷَﻋْﻠَﻰ
অর্থ:- আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।
(মুসলিম, হাএ. হা/১৬৯৯; ইফা. হা১৬৮৪ )
অথবাঃ(খ) আবূ হুরাইরাহ
(রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ
(সঃ) সাজদায় গিয়ে বলতেনঃ
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ
ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒِﻲ ﻛُﻠَّﻪُ، ﺩِﻗَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَّﻪُ، ﻭَﺃَﻭَّﻟَﻪُ ﻭَﺁﺧِﺮَﻩُ، ﻭَﻋَﻼَﻧِﻴَّﺘَﻪُ
ﻭَﺳِﺮَّﻩُ
(রুকু ও সিজদারয় উভয় জাইগাই পড়া যাবে)
(ক) ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ
ﻟِﻲ
অর্থ:- হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ!
আপনি আমাকে মাফ করে দিন।
(বুখারী, তাও.হা/৮১৭, ইফা. হা/৭৮০)
অথবাঃ (খ). ﺳُﺒُّﻮﺡٌ،
ﻗُﺪُّﻭﺱٌ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡ
অর্থ:- (তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোস-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।
(মুসলিম, হাএ. হা/৯৭৮, ইফা. হা/৯৭৩, ইসে হা/৯৮৪,)
(৫) দুই সিজদার মধ্যে মুনাজাত।
(ক)
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ،
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ
অর্থ:- হে আমার রব্ব!
আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।
( সুনান আবূ দাউদ ইফা. হা/৮৭৪; ইবনে মাজাহ্ নং ৮৯৭।
(খ) ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ
ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ،
অর্থ:- ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমাকে সঠিকপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান
করুন ও আমাকে রূযী দান করুন’। (আবূ দাউদ আলএ. হা/৮৫০; ইফা. হা/৮৫০, মিশকাত, হাএ. হা/৯০০)
(৬)বৈঠকে বসে মোনাজাত।
(ক) তাশাহ্হুদ (আত্তাহিইয়া-তু):
اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ،
السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ،
السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ
إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ-
অর্থঃ- যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহ জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও
সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল’
উচ্চারন: আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াস স্বলাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিস
স্ব-লিহিন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আনণা মুহাম্মাদান
‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহু । ( বুখারী, তাও হা/৮৩১, ইফা. হা/৭৯৩, মুসলিম, হাএ. হা/৭৮৩, ইফা. হাএ হা/৭৮০ )
(খ) দুরূদ :
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ
وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ
إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ
وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ
إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-
অর্থঃ- ‘হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের
উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত’।
( বুখারী, ইফা. হা/৩১২৮, তাও. হা/৩৩৭০,আপ্র. হা/৩১২০, মিশকাত,হা/৯১৯ )
(গ) দো‘আয়ে মাসূরাহ :
আবূ বাকর সিদ্দীক
(রযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ‘আমাকে এমন দু‘আ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি আমার স্বলাতে প্রার্থনা করব।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি বল,
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا
كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً
مِّنْ عِنْدَكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
অর্থঃ- ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপরে অসংখ্য অত্যাচার করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ’তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’।
( বুখারী, তাও. হা/৮৩৪, ইফা হা/৭৯৫, মুসলিম ইসে. হা/৬৬৭৭,)
অন্যান্য দো‘আ সমূহ পড়তে পারবে। যেমন:-
(ক) ﺍﻟﻠَّﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ
ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ
ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْـﻴَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ .
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ!
আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর
ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে
(বুখারী, তাও. হা/৮৩২, ইফা. হা/৭৯৪, মুসলিম, হাএ. হা/১২১২, ইফা হা/১২০১, মিসকাত, হ/৯৩,)
(খ) رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً
وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ- হে পরওয়ারদেগার!
আমাদেরকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
(সূরা বাক্বারাহ-
২০১) রাসূল (স) উক্ত আয়াত সালাম ফিরানোর পূর্বেই প্রড়তেন। (তাবরাণী আওসাত্ব হা/৭৫৭১ ও কবীর হা/৯৭৯৭, মাজসাউয যাওয়ায়েদ ২/১৪৩ পৃঃ।)
সালাম: দো‘আয়ে মাসূরারাহ শেষে প্রথমে ডাইনে ও পরে বামে ‘আসসালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ (আল্লাহর পক্ষ হ’তে আপনার উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হৌক!) বলে সালাম ফিরাবে। এভাবে স্বালাত সমাপ্ত করবে৷
সম্মানিত পাঠকগণ,
স্বলাতের ভিতরে যে প্রার্থনা
করা হয় এমন প্রার্থনা কোন বৈঠকে বা কোন ইজতেমায় করা হয় কি? আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার
সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো স্বলাত বা নামাজ। আল্লাহ তুমি আমাদের অর্থ বুঝে স্বলাত আদায়ের তোফিক দান করুন
আমীন শুম্মা আমিন।