***তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট, গুল,মদ খাওয়া কি?***
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ
كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا
وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَا
ۚ أُولَٰئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
আমি বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য
সৃষ্টি করেছি, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারা একেবারে বে-খবর।
(সুরা আল আরাফ ১৭৯)
***তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট, গুল,মদ খাওয়া কি?***
|
মাদকদ্রব্য কি?
যে
বস্তু (পান বা ভক্ষণ করলে) সুস্থ মস্তিষ্ক কে আচ্ছাদিত কিরে সে বস্তুই মদ অথবা যে দ্রব্য পরিমাণ বেশি হলে নেশার সৃষ্টি করে
তার অল্প পরিমাণও হারাম ।
মুহাম্মদ
(সাঃ) বলেন যে বস্তু (পান বা ভক্ষণ করলে) সুস্থ মস্তিষ্ক কে আচ্ছাদিত
কিরে সে বস্তুই মদ ।
(বুখারি
হা ৪৬১৯ সহীহ, ইরওয়া ২৩৭৬ সূনান আত তিরমিজী ১৮৬৬)
বইঃ সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ২৪/ পানীয় ও পানপাত্র, হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯২
২৪/১০.
যে জিনিসের
অধিক পরিমাণ
নেশা উদ্রেক
করে,
তার সামান্য
পরিমাণও হারাম
بَاب مَا أَسْكَرَ
كَثِيرُهُ فَقَلِيلُهُ حَرَامٌ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ
الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى، زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ عَنْ أَبِي
حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى
الله عليه وسلم ـ " كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَا أَسْكَرَ كَثِيرُهُ
فَقَلِيلُهُ حَرَامٌ
১/৩৩৯২। আবদুল্লাহ
ইবনে উমার
(রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে কোন
নেশা উদ্রেককর
জিনিস হারাম। আর
যে জিনিসের
অধিক পরিমাণ
নেশা সৃষ্টি
করে, তার
সামান্য পরিমাণও
হারাম।
মুসলিম
৩৭৩৩, ৩৭৩৪, ৩৭৩৫, তিরমিযি ১৮৬১, আহমাদ ৪৬৩০, ৪৮১৫, ৪৮৪৮, ৫৬১৬, ৫৬৯৭, ৫৭৮৬, ৬১৪৪, ৬১৮৩, ইরওয়া ২৩৭৩, ২৩৭৫। তাহকীক
আলবানীঃ সহীহ। উক্ত
হাদিসের রাবী
আবু ইয়াহইয়া
যাকারিয়্যা বিন
মানযুর সম্পর্কে
আবু আহমাদ
আল-হাকিম
বলেন, তিনি
আহলে ইলমের
নিকট নির্ভরযোগ্য
নয়। আবু
আহমাদ আল-আসকারী
বলেন, তার
ব্যাপারে সমালোচনা
রয়েছে। আবু
বিশর আদ-দাওলাবী
বলেন, তিনি
সিকাহ নয়। আহমাদ
বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী
ও ইবনু
হাজার আল-আসকালানী
বলেন, তিনি
দুর্বল। (তাহযীবুল
কামালঃ রাবী
নং ১৯৯৬, ৯/৩৬৯
নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি
সহীহ কিন্তু
যাকারিয়্যা বিন
মানযুর এর
কারণে সানাদটি
দুর্বল। হাদিসটির
শতাধিক শাহিদ
হাদিস পাওয়া
যায়। তন্মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলঃ
বুখারী ২৪২, ২৪৬৪, ৪৩৪৩, ৪৩৪৫, ৫৫৮৫, ৫৫৮৬, ৫৫৯৮, ৬১২৪, মুসলিম ১৫৮০, ১৭৩৩, ২০০২, ২০০৩, তিরমিযি ১২৯৩, ১৮৬১, ১৮৬৩, ১৮৬৪, ১৮৬৬, আবু দাউদ
৩৬৭৩, ৩৬৭৯, ৩৬৮০, ৩৬৮২, ৩৬৮৫, ৩৬৮৬, ৩৬৮৭, দারিমী
২০৯৭, ২০৯৮, আহমাদ ২৪৭২, ২৬২০, ৩২৬৪, ১৯১০০, ১৯২২৮। হাদিসের
মানঃ সহিহ
(Sahih)
বইঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়
৩৭/
পানীয় দ্রব্য, হাদিস নম্বরঃ
হা/৫০৪৮/বুখারি
হা/৪৬১৯ আবুদাউদ হা/৩৬৬৯ সহিহ
তিরমিযি ইফা হা/১৮৬১
৭.
নেশা সৃষ্টিকারী
সকল বস্তুই
মদ; আর
সর্বপ্রকার মদই
হারাম
باب بَيَانِ أَنَّ كُلَّ مُسْكِرٍ
خَمْرٌ وَأَنَّ كُلَّ خَمْرٍ حَرَامٌ حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ
الْعَتَكِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ،
حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ
حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ
يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الآخِرَةِ " .
৫০৪৮। আবূ
রাবী আতাকী
ও আবূ
কামিল (রহঃ)
... ইবনু উমার
(রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, যা নেশা
সৃষ্টি করে
তাই মদ। আর
যা নেশা
সৃষ্টি করে
তাই হারাম। যে
ব্যক্তি পৃথিবীতে
মদ পান
করবে এবং
(অভ্যস্ত রূপে)
সর্বদা এ
কাজ করে
তাওবা না
করেই মৃত্যুবরণ
করবে, সে
পরকালে তা
(জান্নাতের পানীয়)
পান করতে
পারবে না।
কেন হারাম ব্যাখ্যা
তামাক, জর্দা, বিড়ি খাওয়া হারাম। তামাক, জর্দা শরীরের জন্য কত টুকু উপকারী? নিশ্চয়ই বলবেন যে, ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার নেই! তাহলে দেখুন আল্লাহ পাক কী বলছেন!
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ
مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র (স্বাস্থ্য সম্মত) বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর। (সুরা বাকারা ১৭২)
كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا
تَطْغَوْا فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِي ۖ وَمَن يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِي
فَقَدْ هَوَىٰ
আমার দেয়া পবিত্র (স্বাস্থ্য সম্মত) বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না,
তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়।(সুরা তা হা ৮১)
এখন আল্লাহ তায়ালার ফতোয়া অনুযায়ী তামাক, জর্দা, বিড়ি,মদ ইত্যাদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় তা হালালের বিপরীতে হারাম বস্তু বলে গণ্য হবে।
*মদিনার ফতোয়া বোর্ড অনুযায়ীও জর্দাকে হারাম বলা হয়েছে। *1963 সালে Al
Azhar.Ummul Kura.Madina Etc সহ 30 টি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেম বোর্ড জর্দাকে হারাম ঘোষনা করে
আল- কোরআনের দুটি আয়াতের
ভিত্তিতে তা হল সুরা
আল-বাকারা ১৯৫ সুরা আরাফ ৩১
وَأَنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا
بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ
الْمُحْسِنِينَ
"তোমরা তোমাদের নিজেদের হাতে নিজেদের ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো
না।....."(সুরা বাকারাহ-১৯৫)
يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ
مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ
الْمُسْرِفِينَ
হে
আদম-সন্তানরা!
তোমাদের বেশভূষা
গ্রহণ করো
প্রত্যেক সিজদাস্থলে, আর
খাও ও
পান করো, কিন্তু
অপচয় করো
না, নিঃসন্দেহ তিনি
অমিতব্যয়ীদের ভালোবাসেন
না। (আল-আরাফ
৩১)
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَاْكُلُوْۤا
اَمْوَالَـكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ
تَرَاضٍ مِّنْكُمْ وَلَا تَقْتُلُوْۤا اَنْـفُسَكُمْؕ
اِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো
না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসায় বৈধ এবং নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনো না কিংবা তোমরা
পরস্পরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি কৃপাময়। (আন নিসা ২৯)
আল্লাহ বলেন, "তোমরা অপব্যয় করো না। অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই।" (সূরা বনী ইসরাইল ২৭)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
“আপনি বলে দিন, পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।” (সূরা আল মায়িদাহ ৪)
নেশাদ্রব্য প্রসঙ্গে
আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, মূর্তি (বা প্রতিমা) এর বেদী এবং ভাগ্য নির্ধারক শর (বা শুভ
অশুভ নির্ণয়ের তীর ইত্যাদি) হচ্ছে শয়তানের অপবিত্র কাজ (উল্লেখ্য অপচরকারী শয়তানের
ভাই)। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে
থাক- যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ
সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব তোমরা কি সাবধান হবে না?” (সূরা আল মায়েদাহ:৯০-৯১)
ধুমপান ও জর্দা সেবন নিষিদ্ধ হওয়ার কথা কুরআন-হাদীসে সরাসরি
বলা না থাকলেও ইসলামের মূলনীতির আলোকে তা হারাম (বা নিষিদ্ধ)। এরপরও যদি কেউ বলেন, ধুমপান ও জর্দা সেবন শরীআতের নিষিদ্ধ বস্তুর মধ্যে পড়ে না, তা হলে তাকে ঐ রোগীর সাথে তুলনা করা যায় যিনি ডাক্তারের নির্দেশ মত চিনি ও তামাক
ত্যাগ করলেন ঠিকই কিন্তু রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ, সিগারেট এবং পান খাওয়ার নামে তামাক মিশ্রিত জর্দা- ইত্যাদি সবই খেলেন আর বললেন, ‘ডাক্তার তো এগুলো নিষেধ করেননি’!
তামাকদ্রব্য মাকরুহ না হারাম
الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ
الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ
وَالْإِنجِيلِ يَأْمُرُهُم بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنكَرِ
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ
إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ ۚ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ
وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنزِلَ مَعَهُ ۙ
أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
যারা
প্রেরিত উম্মী
নাবীকে অনুসরণ
করবে যা
তাদের কাছে
রক্ষিত তাওরাত
ও ইনজীলে
তারা লিখিত
পাবে। সে
তাদেরকে সৎকাজের
নির্দেশ দেয়, অসৎ কাজ
করতে নিষেধ
করে, পবিত্র
বস্তুসমূহ তাদের
জন্য হালাল
করে, অপবিত্র
বস্তুগুলো তাদের
জন্য নিষিদ্ধ
করে, তাদের
থেকে গুরুভার
সরিয়ে দেয়
আর সেই
শৃঙ্খল (হালাল-হারামের
বানোয়াট বিধি-নিষেধ)
যাতে ছিল
তারা বন্দী। কাজেই
যারা তার
প্রতি ঈমান
আনে, তাকে
সম্মান প্রদর্শন
করে, তাকে
সাহায্য-সহযোগিতা
করে আর
তার উপর
অবতীর্ণ আলোর
অনুসরণ করে, তারাই হচ্ছে
সফলকাম। (আল-আ‘রাফ ১৫৭)
قُلْ لَّا يَسْتَوِى الْخَبِيْثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ
اَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيْثِۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ يٰۤاُولِى الْاَلْبَابِ
لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
বল, অপবিত্র আর
হালাল সমান
নয়, যদিও
হারাম বস্তুর
প্রাচুর্য তোমাকে
আকৃষ্ট করে। কাজেই
হে জ্ঞানী
সম্প্রদায়! তোমরা
আল্লাহকে ভয়
কর যাতে
তোমরা সফলকাম
হতে পার। (আল-মা’ইদাহ ১০০)
অর্থাৎ
মাখরু বলে কিছুই নেই শুধু হারাম অথবা হালাল
আমরা যা বুঝলাম
বইঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২৬/ ক্রয় - বিক্রয়, হাদিস নম্বরঃ ১৯২৩
১২৭৮.
হালাল সুস্পষ্ট, হারামও
সুস্পষ্ট, উভয়ের মাঝে
অস্পষ্ট বিষয়
রয়েছে।
باب الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ
بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشَبَّهَاتٌ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى،
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، سَمِعْتُ
النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ ـ رضى الله عنه ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه
وسلم. حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ،
عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ،
حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ،
سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم. حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ
أَبِي فَرْوَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ـ رضى الله
عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ،
وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا أُمُورٌ مُشْتَبِهَةٌ، فَمَنْ تَرَكَ مَا
شُبِّهَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ كَانَ لِمَا اسْتَبَانَ أَتْرَكَ، وَمَنِ اجْتَرَأَ
عَلَى مَا يَشُكُّ فِيهِ مِنَ الإِثْمِ أَوْشَكَ أَنْ يُوَاقِعَ مَا اسْتَبَانَ،
وَالْمَعَاصِي حِمَى اللَّهِ، مَنْ يَرْتَعْ حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكْ أَنْ
يُوَاقِعَهُ ".
১৯২৩.
মুহাম্মাদ ইবনু
মূসান্না, আলী ইবনু
আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ ইবনু
মুহাম্মাদ ও
মুহাম্মাদ ইবনু
কাছীর (রহঃ)
... নু’মান ইবনু
বাশীর (রাঃ)
থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট, উভয়ের মাঝে বহু অস্পষ্ট বিষয় রয়েছে। যে
ব্যাক্তি গুনাহের
সন্দেহযুক্ত কাজ
পরিত্যাগ করে, সে
ব্যাক্তি যে
বিষয়ে গুনাহ
হওয়া সুস্পষ্ট, সে
বিষয়ে অধিকতর
পরিত্যাগকারী হবে। পক্ষান্তরে
যে ব্যাক্তি
গুনাহের সন্দেহযুক্ত
কাজ করতে
দুঃসাহস করে, সে
ব্যাক্তির সুস্পষ্ট
গুনাহের কাজে
পতিত হবার
যথেষ্ট আশংকা
রয়েছে। গুনাহসমূহ
মহান আল্লাহ্
তা’আলার সংরক্ষিত
এলাকা, যে জানোয়ার
সংরক্ষিত এলাকার
চার পাশে
চরতে থাকে, তার
ঐ সংরক্ষিত
এলাকায় প্রবেশ
করার সম্ভাবনা
রয়েছে।
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৭/ ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসা-বাণিজ্য, হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৬,৩২৯৭,৩২৯৮,৩২৯৯
২৯৭.
সন্দেহজনক বস্তু
পরিহার কর।
باب فِي اجْتِنَابِ الشُّبُهَاتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، حَدَّثَنَا
ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، -
وَلاَ أَسْمَعُ أَحَدًا بَعْدَهُ يَقُولُ - سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ
وَبَيْنَهُمَا أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ " . وَأَحْيَانًا يَقُولُ "
مُشْتَبِهَةٌ " . " وَسَأَضْرِبُ لَكُمْ فِي ذَلِكَ مَثَلاً إِنَّ
اللَّهَ حَمَى حِمًى وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَا حَرَّمَ وَإِنَّهُ مَنْ يَرْعَ
حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكْ أَنْ يُخَالِطَهُ وَإِنَّهُ مَنْ يُخَالِطِ الرِّيبَةَ
يُوشِكْ أَنْ يَجْسُرَ " .
৩২৯৬.
আহমদ ইবন
ইউনুস (রহঃ)
.......... নু'মান ইবন
বাশীর (রাঃ)
হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) কে
বলতে শুনেছিঃ
হালাল স্পষ্ট
এবং হারামও
স্পষ্ট। এ
দুয়ের মাঝে
কিছু সন্দেহজনক
জিনিস আছে। আমি
তোমাদের কাছে
এর উদাহরণ
পেশ করছি। আল্লাহ্
তা'আলা প্রত্যেক
জিনিসের জন্য
একটি সীমা
নির্ধারণ করেছেন, আর
আল্লাহ্ কর্তৃক
নির্ধারিত সীমা
হলো তিনি
যা হারাম
করেছেন, সেই সব
বস্তু। বস্তুত
যে ব্যক্তি
এই নির্ধারিত
সীমানার কাছে
পশু চরাবে, তার
পশু তাতে
ঢুকার সম্ভাবনা
আছে।
একই রুপে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হবে, অচিরাৎ সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
হাদিসের
মানঃ সহিহ
(Sahih)
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২১/ খাদ্যদ্রব্য, হাদিস নম্বরঃ ৩৭৭৯
باب فِي أَكْلِ الثُّومِ حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ
شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا - أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا -
وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ " . وَإِنَّهُ أُتِيَ بِبَدْرٍ فِيهِ
خَضِرَاتٌ مِنَ الْبُقُولِ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ بِمَا
فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ فَقَالَ " قَرِّبُوهَا " . إِلَى بَعْضِ
أَصْحَابِهِ كَانَ مَعَهُ فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ " كُلْ
فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي " . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ
بِبَدْرٍ فَسَّرَهُ ابْنُ وَهْبٍ طَبَقٌ
৪৯০. রসুন খাওয়া সম্পর্কে।
৩৭৭৯. আহমদ ইবন সালিহ (র) ......... জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন বা পেয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের থেকে পৃথক থেকে, অথবা আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে। আর তার উচিত, সে যেন তার ঘরের মধ্যে থাকে। এরপর নবী (সাঃ)-এর নিকট একটি পাত্র পেশ করা হয়, যাতে সবজীর তরকারি ছিল। তিনি (সাঃ) তরকারীর গন্ধ পেয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ এটি কিসের তৈরী
? তখন তাঁকে তরকারি সম্পর্কে জানানো হয়। তখনা তিনি সেটি তাঁর কোন সাহাবীর নিকট রাখার জন্য নির্দেশ দেন। উক্ত সাহাবী তা খেতে অনীহা প্রকাশ করলে তিনি বলেনঃ তুমি তা খাও। কেননা, আমি এমন জাতের সঙ্গে একান্তে কথাবার্তা বলি, যার সাথে তুমি কথা বল না, (অর্থাৎ ফেরেশতাদের সঙ্গে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ
অতএব
উপরুক্ত বস্তুগুলো(তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট, গুল,মদ)
স্পষ্ট হারাম
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ
نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا
تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ
رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا
وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন
না, সে ভাল যা করেছে সে তার সওয়াব পাবে এবং স্বীয় মন্দ কৃতকর্মের জন্য সে নিজেই নিগ্রহ
ভোগ করবে। ............................ (আল-বাক়ারাহ
২৮৬)আরও পড়ুন
-------কিছু জরুরী পোস্ট--------পড়ুন অনেক কিছু জানতে পারবেন------
- যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা
- আপনি ভাবছেন ! আমি খুব কষ্টে আছি ! তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য !
- কি ভাবে একজন নারী পুরুষের কাছে তা যৌবন হারায়!-----পুরুষের একটি মিথ্যে সাজানো কমন কৌশল! নারীদের দেহ ভোগ (Sex) করার!----
- বিবাহের শর্ত সুমুহ। যে সকল শর্ত ছাড়া বিবাহ হারাম।