ফরয সলাতের ইক্বামাতের পর নফল বা সুন্নাত পড়া কি?
ফরয সলাতের ইক্বামাতের পর সুন্নাত বা নফল পড়া
"প্রচলিত ভুল"
ফরয সলাতের ইক্বামাতের পর নফল পড়া মাকরুহ। কিন্তু ফজরের বিষয়টি এর থেকে ব্যতিক্রম। যদি জামাআত সম্পূর্ণ ছুটে যাবার আশংকা না থাকে তবে ইক্বামাতের
পরও ফজরের সুন্নাত জায়িয। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১৪৮ পৃঃ)
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পদ্ধতিঃ অথচ
বুখারীতে একটি অধ্যায়ে রচিত হয়েছে-
ইকামাত হয়ে গেলে ফরয ব্যতীত অন্য কোন সলাত নেই
এই অধ্যায়ে যে হাদীসটি এসেছে তা হলো রাসূলুল্লাহ (স) ফজরে (সলাতে) এক ব্যক্তিকে
ইক্বামাত হয়ে যাবার পর দু’রাক’আত সলাত আদায় করতে দেখলেন। অতঃপর ফরয সলাত শেষে উক্ত ব্যক্তিকে বললেন ফজর কি চার রাক’আত? এ কথা দু’বার বললেন।
(সহীহ বুখারী, তাওহীদ-৬৬৩ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৬৩০ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২৩)
অথচ আমাদের দেশের মৌলবীরা
বলেন ফজরের দু’রাক’আত সুন্নাতের গুরুত্ব অনেক বেশী তাই এর অনুমতি আছে। তাদের নিকট প্রশ্ন হল-গুরুত্বটা কি ফরয সলাতের চেয়েও বেশী? অথচ ফজর বা অন্য কোন ফরয সলাতের জামাআত শুরু হবার পর কেউ মাসজিদে এলে অথবা কেউ
সুন্নাত পড়া অবস্থায় থাকলে তাকে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শরীক হতে হবে। ইক্বামাতের পর সুন্নাত সলাত পড়া বৈধ নয়। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
‘‘যখন জামাআতের জন্য ইক্বামাত দেওয়া হয় তখন ফরয
ব্যতীত অন্য কোন সলাত নেই
বায়হাকীর বর্ণনায় আছে,
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) কে বলা
হ’ল ফজরের সুন্নাত দু’রাক’আতও পড়া যাবে না? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
ফজরের দু রাক’আতও পড়া যাবে না।