আপনি কি জীবনে সুখী হতে চান?
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
আল্লাহ বলেন আমি জীন এবং মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছি
একমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য। ((সুরা যারিয়া ৫৬))
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ
وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ
الصَّابِرِينَ
“নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধন-প্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর
তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।” (সূরা বাকারাহ ১৫৫ আয়াত)
আপনি কি জীবনে সুখী হতে চান? তা হলে ঝটপট মেনে নিন!!!
আমাদের জীবনে এত দুঃখ-কষ্ট কেন? কেন আমি যা
চাই তা পাইনা? জীবন এত কঠিন কেন?
****এমন কিছু প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই কম বেশি ঘুরপাক খেতে থাকে****
আমাকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা দিতে হবে কেন?
أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا
آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ
وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۖ فَلَيَعْلَمَنَّ
اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ
মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ্ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।
((আনকাবুত আয়াত ২,৩))
আমি যা চাই,তা পাই না কেন?
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ
كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ
وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ
وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই
নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা
কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না। ((বাকারা ২১৬))
আমার উপর এভাবে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল কেন?
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا
إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا
لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ
عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا
وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا
وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। সে তাই
পায় যা সে উর্পাজন করে এবং তাই তার উপর র্বতায় যা সে করে।
((সূরা বাকারা ২৮৬)) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ((ইনশরিহা ৫,৬))
বিপদে আমি আশা হারাবো না কেন?
আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা
মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।((আল ইমরান ১৩৯))
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن
يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ
قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
আর যে আল্লাহ্র উপরে নির্ভর করে -- তার জন্য
তবে তিনিই যথেষ্ট। ((সুরা তালাক ০৩))
তাহলে এইসব কিছু আমি মোকাবেলা করব কিভাবে?
হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ কর। আর আল্লাহকে
ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার। ((আল-ইমরান ২০০)) আর তোমরা ধৈর্য ধরে ও নামায পড়ে সাহায্য
কামনা করো।। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তূ সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। ((বাকারা ৪৫,১৫৩))
“হে বিশ্বাসীগণ ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে
সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।” ((বাকারাহ ১৫৩))
কিন্তু আমার পক্ষে যে আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না
يَا
بَنِيَّ اذْهَبُوا فَتَحَسَّسُوا مِن يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَيْأَسُوا مِن
رَّوْحِ اللَّهِ ۖ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِن رَّوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ
الْكَافِرُونَ
আল্লাহর রহমত থেকে
নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত
থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ
হয়না। ((ইউসুফ ৮৭))
আল্লাহ্ কোনো
বান্দার উপরে তার ক্ষমতার অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। তার অনুকূলে রয়েছে সে যা-কিছু
অর্জন করেছে, আর তার প্রতিকূলে
রয়েছে যা-কিছু সে কামিয়েছে।
((সুরা বাকারা ২৮৬))
বলুন, হে আমার
বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়
আল্লাহ্ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ((আয যুমার ৫৩))
‘‘যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার মঙ্গল
চান, তখন তিনি তাকে তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে (পাপের) শাস্তি দিয়ে দেন। আর যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার
অমঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে (শাস্তিদানে) বিরত থাকেন। পরিশেষে কিয়ামতের দিন তাকে
পুরোপুরি শাস্তি দেবেন।’’
ذَٰلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا
نِّعْمَةً أَنْعَمَهَا عَلَىٰ قَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۙ
وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আল্লাহ কখনও কোন জাতির উপরে দেয়া তাঁর অনুগ্রহকে
বদলান না, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেদেরকে বদলিয়ে না ফেলে।
((আনফাল ৫৩))
“(হে মানুষ) যে বিপদ আপদই তোমাদের উপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই, এবং (তা সত্ত্বেও) আল্লাহ তাআলা তোমাদের অনেক (অপরাধ এমনিই)
ক্ষমা করে দেন।” ((আশ শূরা ৩০))
مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ
اللَّهِ ۖ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ ۚ وَأَرْسَلْنَاكَ
لِلنَّاسِ رَسُولًا ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا
“যে কল্যাণই তুমি লাভ কর (না কেন, মনে রেখো),
তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আর যেটুকু অকল্যাণ তোমার উপর আসে তা আসে তোমার নিজের থেকে”। ((আন নিসা ৭৯))