◇◇◇আপনি কি চান যে আপনার
মৃত্যু মুসরেক অথবা কাফের অবস্তাই হোক?◇◇◇
◇◇◇আপনি কি আল্লাহ্ কে
ভয় করেন?◇◇◇
আমাদের মোবাইলে এই রকম SmS আসে যাতে লিখা(আল্লাহর
নাম,কালেম বা শ্বপ্নের কথা) আছে দশজন বা বিশজনকে
পাঠান দেখবেন একটি নির্দিষ্ট সময় পরে সুখবর
পাবেন না পাঠালে খারাপ সংবাদ(ক্ষতি হবে) পাবেন। এই কথা গুল কি ঠিক?
♥♥♥***জানতে হোলে পড়ুন***♥♥♥
================
!কে কি বললো আর আপনি
তা প্রচার করলেন!
আপনি কি জানেন তার পরিনাম কি হতে পারে?
আমাদের একটা বাড়তি সমস্য যে আমরা খুব সহজে আল্লাহর জান্নাত পেতে চাই। পরিশ্রম ছাড়া ফল পেতে চাই। এই কাজটি সেই লোকের
মত "যে গাছ না লাগিয়ে ঘরে শুয়ে বলছে আল্লাহ্ আমাকে ফল খেতে দাও"
কে কি বললো আর আমরা তা প্রচার করি অথছ আল্লাহ্ বলেন যে “কোন কথা(বার্তা) প্রচার করার আগে তোমরা তা যাচাই-বাছাই করে নাও
আল্লাহ বলেন যে ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের
কাছে যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তা যাচাই-বাছাই করে নাও; যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধনে প্রবৃত্ত
না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হও”
(সূরা আল-হুজুরাত ০৬) আপনি তো কখন ভেবে দেখলেন না কথাটা কি ঠিক!
আপনি উপরের আয়াতের কথাটা একবার ভাবুন।
অপরদিকে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন যে
‘একজন ব্যক্তি মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়’। (মুসলিম ১/১০৭)
আর সবচেয়ে বড় বিষয় আপনি জানেন যে হাদিসটি ভুয়া তারপর বর্ণনা করলেন। এখন দেখুন আপনার অবস্থান কথাই?
রসুল(সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন জাহান্নামে তার আবাস নির্ধারণ করলো।
(মুসলিম ৩০০৪, আহমাদ ১০৯৫১,
১১০১১, ১১০৩২, ১১১৪২)
◇◇◇এখন আপনি মনে করছেন
যে মেসেজে লিখা আছে একটা নির্দিষ্ট সংখা জোনকে দিলে আপনি সু-সংবাদ পাবেন না হলে খারাপ( সংবাদ) পাবেন
কথাটা কতোটা সত্য কুরআন ও হাদিস থেকে দেখি◇◇◇
প্রথমত আমাদের মনে রাখতে হবে যে
*** ইসলাম একটি পুরনাঙ্গ
জীবন বিধান।
আল্লাহ্ বলেন যে “আর তোমার প্রভুর বাণী
সম্পূর্ণ হয়েছে সত্যে ও ন্যায়ে। তাঁর বাণী কেউ বদলাতে
পারে না, আর তিনি সুনেন ও জানেন”
(শূরা আণ-আম ১১৫, সূরা মায়িদা ০৩। বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮,
আবূ দাঊদ ৪৬০৬, আহমাদ ২৩৯২৯, ২৪৬০৪, ২৪৯৪৪)
*** কোন কিছুকে ইসলামের
সাথে জড়ালে অর্থাৎ ইসলামিক দীন মনে করলে তার স্পষ্ট দলিল প্রমাণ থাকতে হবে (সূরা আল-
আরাফ ০৩,সূরা নাহল ৪৩, মুসলিম ৩০০৪,
আহমাদ ১০৯৫১, ১১০১১, ১১০৩২, ১১১৪২,সূরা নিসা ১৪,সুরা হুজরাত ০১)
*** আয়িশাহ < থেকে বর্ণিত। রসুল (সাঃ) বলেন যদি
কেউ আমাদের এই দীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮,
আবূ দাঊদ ৪৬০৬, আহমাদ ২৩৯২৯, ২৪৬০৪, ২৪৯৪৪, ২৫৫০২, ২৫৬৫৯, ২৫৭৯৭)
♥এবার আসুন দেখি আল্লাহ্
ব্যাতিত কেউ কি মানুষের উপকার বা ক্ষতি করতে পারে?♥
♡♡♡♡♡উত্তর হবে না♡♡♡♡♡♡
কেননা আল্লাহ্ বলেন যে
আর যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক, তাহলে আল্লাহর উপরই
ভরসা কর।”(সূরা মায়িদা আয়াত ২৩)
“আর মুমিনদের উচিত আল্লাহর
উপরই নির্ভর করা।” (সুরা ইব্রাহীম আয়াত ১১)
“আল্লাহ ছাড়া এমন কোন
সত্তাকে ডেকোনা, যা তোমার কোন উপকার
করতে পারবে না এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। যদি তুমি এমন করো তাহলে
নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ যদি তোমাকে
কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি
ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।” (ইউনুস আয়াত ১০৬, ১০৭)
(বুখারি ৫৩৪৬ আবু দাউদ
৩৯১০)
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস
করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শিরক, কথাটি তিনবার বলেন’।(তিরমিযী ৪/১৬০ ইবনু
হিববান ১৩/৪৯১ হাকীম, আল-মুসতাদরাক ১/৬৪ আবূ দাউদ ৪/১৭)
তাহলে আপনি কি ভাবে ভাবলেন যে এই sms আপনার ক্ষতি করতে পারবে? কখনই নয়।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে sms এ ক্ষতি করতে পারবে
তাহলে আপনি উপরের আয়াত গুলকে অসিকার করছেন। আপনি কি মনে করছেন
যে এখন মুসলিম থাকবেন? না কখনই না আপনি অসিকা
কারি অর্থাৎ কাফের হয়ে যাবেন।
♥♥♥এবার আসি SmS টার ব্যাপারে♥♥♥
▶▶▶এর কোন দলিল আছে?
হাদিশ অথবা কুরানে? উত্তর না।
▶এই SmS টা আমাদের ক্ষতি করতে পারে?
▶▶▶উত্তর না (ইউনুস আয়াত ১০৬, ১০৭)
▶এই SmS টা কি কোন উপকার করতে পারে?
▶▶▶উত্তত না (ইউনুস আয়াত ১০৬, ১০৭)
কিছু কথা যা না
বললেই নয়
তবে এখানে কিছু বলা
যাই যে আপনি কোন ভাল কিছু লিখে
কাওকে পাঠান ও অন্যকে পাঠাতে বলেন তাতে কোন দোষ নেই। এখানে কোন লাভ বা উপকার হবে এ
কথা বলেলে শিরক হবে। অথবা নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা উল্লেখ করা জাবে না। আর উল্লেখ করলে কুরআনে অথবা হাদিসে এর দলিল-প্রমান থাকতে হবে।
◇◇◇এখন সময় আছে সাবধান
হয়ে যান◇◇◇