Search This Blog

My Blog List

21.5.18

কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ!

 


কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ

কুরআন মাজীদের সিজদার আয়াত তিলাঅত করলে অথবা শুনলে তকবীর দিয়ে একটি সিজদাহ করা এবং তকবীর দিয়ে মাথা তোলা মুস্তাহাবএই সিজদার পর কোন তাশাহহুদ বা সালামনেইতকবীরের ব্যাপারে মুসলিম বিন য়্যাসার, আবূ কিলাবাহ্‌ ও ইবনে সীরীন কর্তৃক আষার বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে আবী শাইবা, আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, বায়হাকী, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ২৬৯পৃ:)

এই সিজদাহ করার বড় ফযীলত ও মাহাত্ম রয়েছেমহানবী (সাঃ) বলেন, “আদম সন্তান যখন সিজদার আয়াত পাঠ করে সিজদাহ করে, তখন শয়তান দূরে সরে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে, ‘হায় ধ্বংস আমার! ও সিজদাহ করতে আদেশ পেয়ে সিজদাহ করে, ফলে ওর জন্য রয়েছে জান্নাতআর আমি সিজদার আদেশ পেয়ে তা অমান্য করেছি, ফলে আমার জন্য রয়েছে জাহান্নাম” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ ৮৯৫নং, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান)

তিলাওয়াতের সিজদা কুরআন তেলাওয়াতকারী ও শ্রোতার জন্য সুন্নতএকদা হযরত উমার (রাঃ) জুমআর দিন মিম্বরের উপরে সূরা নাহল পাঠ করলেনসিজদার আয়াত এলে তিনি মিম্বর থেকে নেমে সিজদাহ করলেন এবং লোকেরাও তাঁর সাথে সিজদাহ করলঅতঃপর পরবর্তী জুমআতেও তিনি ঐ সূরা পাঠ করলেনযখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, ‘হে লোক সকল! আমরা (তিলাওয়াতের সিজদাহ করতে) আদিষ্ট নইসুতরাং যে সিজদাহ করবে, সে ঠিক করবেআর যে করবে না, তার কোন গুনাহ হবে না

অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের উপর (তিলাওয়াতের) সিজদাহ ফরয করেন নিআমরা চাইলে তা করতে পারি’ (বুখারী ১০৭৭নং)

যায়দ বিন সাবেত (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর কাছে সূরা নাজম পাঠ করলামতিনি সিজদাহ করলেন না’ (বুখারী ১০৭৩, মুসলিম,  মিশকাত ১০২৬নং)

ফুটনোটঃ

 স্বালাতে মুবাশ্‌শির  বিভিন্ন সিজদা সমূহ  আবদুল হামীদ ফাইযী
সিজদার স্থানসমূহ
কুরআন মাজীদে মোট ১৫ জায়গায় সিজদাহ করা সুন্নততা যথাক্রমে নিম্নরুপ:-

সূরা আরাফ ২০৬ নং আয়াত
সূরা রাদ ১৫নং আয়াত
সূরা নাহল ৫০নং আয়াত
সূরা ইসরা’ (বানী ইসরাঈল) ১০৯নং আয়াত
সূরা মারয়্যাম ৫৮নং আয়াত
সূরাহাজ্জ ১৮নং আয়াত
সূরাহাজ্জ ৭৭নং আয়াত
সূরা ফুরক্বান ৬০নং আয়াত
সূরা নামল ২৬নং আয়াত
সূরা সাজদাহ ১৫নং আয়াত
সূরা স্বা-দ ২৪নং আয়াত
সূরা ফুস্‌সিলাত (হা-মিম সাজদাহ) ৩৮ নং আয়াত
সূরা নাজম ৬২নং আয়াত
সূরা ইনশিক্বাক্ব ২১নং আয়াত